![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/07/prothomalo-bangla_2022-07_66f55139-9277-4115-9282-e1bfce2ad1bb_BOGURA__LOAD_SHADDING___4.webp)
রাজশাহী বিভাগে লোডশেডিংয়ের হিসাব মিলছে না। গতকাল মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকাগুলোতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এলাকায় এই অবস্থা হয়েছে। তবে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা সদর ও ছয়টি উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের এলাকায় অপেক্ষাকৃত কম লোডশেডিং হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা সদর রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এবং ছয়টি উপজেলা সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর, রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী, বগুড়ার দুপচাচিয়া ও শেরপুরে নেসকো-রাজশাহী থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
নেসকো সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টায় তাদের চাহিদা ছিল ৪৭৮ মেগাওয়াট আর সরবরাহ ছিল ৩৯১ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ৮৭ মেগাওয়াট। ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিং দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে নেসকোর রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, বৃষ্টি না হলে হয়তো আর এই অবস্থার উন্নতি হবে না। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমলে এসির ব্যবহার কমে। তখন বিদ্যুতের চাহিদা কমবে।
রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হাতে। রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন জেলার তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর বাঘা ও চারঘাট উপজেলা রয়েছে। এই এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না। চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল বাবু বলেন, গতকাল ২৪ ঘণ্টা সময় চরম দুর্ভোগের মধ্যে কেটেছে। দুই ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ এসে ১৫ মিনিট থেকে আবার চলে গেছে। আবার দুই ঘণ্টা পরে এসে একটু থেকেছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের মিলিক বাঘা গ্রামের বাসিন্দা ও একটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে ঈদের আগের মতোই অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. একরামুল হক বলেন, গতকাল তাদের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৩৫ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই লোডশেডিং দিতে হয়েছে। আজ সকালে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ৫৩ মেগাওয়াট সরবরাহ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর এলাকায় গতকাল ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে হয়েছে। একই অবস্থা ছিল নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য এলাকাতেও।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর গ্রাহক নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কাদের বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ ছিল না। হয়তো ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকে, আবার দুই ঘণ্টা থাকে না—এই অবস্থা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।